শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মজিবুল হক লাজুক , পাবনা :
পাবনা বেড়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গুচ্ছগ্রামের ঘড় তৈরীতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে সাথে কথা হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউএনওর উপর তার দোষ চাপিয়ে বলে আমরা কামলা আমাদেরকে ইউএনও স্যার যা দিয়েছে আমরা সেগুলো দিয়ে কাজ করেছি। এ কথার উত্তরে ইউএনও সাহেব কি এ সকল নির্মাণ সামগ্রী আপনাকে দিতে পারে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আপনাাকে কিছু বলতে পারবো না। অপরদিকে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেছেন যে সরকারী কাম তো সুমবাদিক ভাই কেমবা আর হবি। ঘড়ের বাতায় যে কাঠ দেছে সেতার সাথে ছাওয়াল পল এখনই ঝোলন খাচ্ছে তালি আর কি কি কাম করিছে সেতার কতা না হয় নাই কলেম। আপনি সাংবাদিক আপনি জানেন আপনি বাড়িগুলোর ভিতরে গিয়ে দেখেন গা তাই বুঝবেননে। এ সকল অভিযোগে পেক্ষিতে ঘটনাস্থল, বেড়া উপজেলাধীন চাকলা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন প্রধানমন্ত্রী উপহার গুচ্ছগ্রামে গিয়ে ঘড়গুলো দেখে তেমনটাই দেখা মিলেছে। যদিও ছবিতে ঘড়গুলো দেখতে ঠিক ঠাক মনে হতে পারে কিন্তু ঘড়গুলো যে সকল নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা অতিনিম্নমানের । অথচ ঘড় গুলো তৈরি করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সঠিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ এর আগেও প্রধামন্ত্রীর দেওয়া গুচ্ছগ্রামের নির্মাণ কাজ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজে অনিয়মের খবর সকল মিডিয়ায় শিরোনাম সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। আর এ সকল অনিয়মের দায়ে সরকারী অনেক কর্মকর্তারা শাস্তি পেয়েছে। পরবর্তীতে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একদল তদন্ত কমিটি এ সকল দুর্নীতির রোধে কাজ করেন দেশের বিভিন্ন জেলায় মাঠ পর্যায়ে গিয়ে। কিন্তু এতো কিছুর পরও বেড়া উপজেলায় আবারও প্রধানমন্ত্রী দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে ঘড় তৈরির কাজে আবারও দুর্নীতি করা হয়েছে বলে বেড়ার অভিজ্ঞ মহলের দাবি।
বেড়া উপজেলাধীন চাকলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশে নির্মিত এ সকল ঘড় তৈরিতে দুর্নীতি করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিছে , এ সকল ঘড় গুলোতে ব্যবহৃত দরজা , জানালা তৈরি করা হয়েছে অতি নিম্নমানের সিট দিয়ে। এতে করে খুব অল্প সময়ে মধ্যে এ সকল দরজা জানালা গুলো নষ্ট হয়ে যাবে । এ ছাড়াও ঘড়ের ছাউনি তৈরি করতে সেকল টিন ব্যবহার করা হয়েছে তা অতি নিম্নমানের ও তার সাথে সে সকল কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে সেখানেও নিম্নমানের কাঠ দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু কাঠ এখনই নষ্ট হয়ে গেছে আর কাঠগুলো নিম্নমানের দেওয়ায় অনিয়ম ঢাকতে কাঠগুলো আলকাতরা দিয়ে কালো রং করা হয়েছে নাম প্রকাশ্যে অনেচ্ছুক একজন অভিজ্ঞ কাঠ মিস্ত্রি জানিয়েছে। চাকলাবাসি বলছে এই ঘড়গুলোতে ডোম্বলের কাঠ (ডুমুর গাছের কাঠ) ব্যবহার করা হয়েছে বলে তারা সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও ঘড়গুলোর পাশে সেনেটারি টেংকি তৈরি করা হয়েছে সেখানেও অনিয়ম করা হয়েছে। মাত্র ১ থেকে ১.৫ ফিট গর্তকরে ৬ টি পাট বসিয়ে ঘড়গুলোর পাশে পয়নিস্কাশনের জন্য তৈরি সেনেটারি টাংকি নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ একটি বাথরুমের টেংকি তৈরি করতে নূন্যতম ৮-৯ ফিট গর্ত করা হয়ে থাকে। আর এ সকল বাথরুমের টেংকিগুলো অল্প দিন ব্যবহার করলেই টেংকি ভোরে গিয়ে মল বেরিয়ে এসে সেখানকার পরিবেশ দূষণ করবে সেই সাথে ঘড়গুলোর মানুষেরা আর বাথরুমগুলো ব্যবহার করতে পারবেনা বলে সেখানকার স্থানীয় মানুষের দাবি।
এ ছাড়াও ঘড়গুলো তৈরি করতে যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ইট, বালু, খোয়া , মাটি , সিমেন্ট রড সহ অন্যান্য সামগ্রীগুলোও দেওয়া হয়েছে অতি নিম্নমানের। ঘড় তৈরির বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আসা কিছু মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা এ কথাও বলে যে ঘড়ে ডোম্বলের কাঠ দেছে। সাংবাদিক তার কথাশুনে আপনি কীভাবে বলছেন ডোম্বলের কাঠ দিছে এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে তারা বলে দেহেনগা স্যার কাঠগুলো খুব চিকোন ও নরম সেই সাথে কাঠগুলিতে ঢাহা দিলি উপির দিক নিচ ঠিক লরে চরে। আবার টিপ দিলি মনে হয় কাঠগুলি নরম। মনে হয় ডোম্বলের ডাল কাটি দেছে। আবার টিনগুলিতে চাপ দিলি টিনও দাবি যায়। তালি বোঝেন সুমবাদিক ভাই সরকারী কাম কেম্বা হরি কাজগুলি হরছে বোঝেন ইবার। তাই বেড়ায় উপজেলাধীন চাকলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এ সকল গুচ্ছগ্রামের ঘড় তৈরির কাজগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নিকট দাবি জানিয়েছে চাকলা ইউনিয়নবাসি।